বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন
সাকিবুজ্জামান সবুর:
ঝালকাঠি-কাঠালিয়া-আমুয়া-পাথরঘাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের কাঠালিয়া বাসষ্ট্যান্ড থেকে ভান্ডারিয়ার রাধানগর পর্যন্ত সড়কটিতে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলে বিঘœ ঘটছে। এসব গর্তে বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকে। তখন পথচারীদের পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে। এছাড়া কাঠালিয়া থেকে ভান্ডারিয়া সীমানা (কাঠালিয়া অংশে) পর্যন্ত সড়কটির পুরো অংশেই খানাখন্দ থাকায় এ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলে চরম জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাঠালিয়া বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় মসজিদের সামনের সড়কে বড় একটি গর্ত হয়েছে। এতে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। দিন- রাত সড়কটি দিয়ে কাঠালিয়া-পাথরঘাটা-ঢাকা, কাঠালিয়া- পাথরঘাটা- চট্রগ্রাম, কাঠালিয়া- খুলনা, কাঠালিয়া রাজশাহী সহ বিভিন্ন রুটের যানবাহন ও লোকজন চলাচল করে। এছাড়া কাঠালিয়া থেকে ভান্ডারিয়ার রাধানগর পর্যন্ত সড়কে খানাখন্দ ও গর্ত থাকায় যানবাহন ও পথচারীসহ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কাঠালিয়া বাসষ্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক মো. মহসীন খান জানান, দীর্ঘদিন ধরে বাসষ্ট্যান্ডে মসজিদের সামনে বড় একটি গর্ত হয়ে পুকুরে পরিনত হয়েছে। এতে পানি আটকে থাকায় গাড়ি ও মানুষ চলাচল করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। অনেক সময় বড় গাড়ি গর্তে আটকে থাকতে দেখা যায়। এতে চমর ভোন্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
বেটারী চালিত ইজিবাইক চালক মো. মহিদুল ইসলাম বলেন, কাঠালিয়া বাসষ্ট্যান্ড থেকে ভান্ডারিয়া পর্যন্ত সড়কটির বিভিন্ন যায়গায় অনেক দিন থেকে বড় বড় গর্ত হয়ে আছে। যার কারণে অটো চালাতে অনেক সমস্যা হয়। অনেক সময় গর্ত ও খন্দলে পড়ে গিয়ে দূর্ঘটনা ঘটে। তাই অতি দ্রæত রাস্তাটি সংস্কার করা দরকার। কারণ এ সড়ক দিয়ে বেশির ভাগ মানুষই অটো গাড়িতে চলাচল করেন।
কাঠালিয়া কলেজ রোডের এমআর ইলেকট্রনিকের মালিক মো. মিজানুর রহমান টিটু জানান, কাঠালিয়া বাসষ্ট্যান্ডে বড় একটি গর্ত হয়ে পানি আটকে থাকায় গাড়ি ও মানুষ চলাচল করতে ভোগান্তি হচ্ছে। যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়া কাঠালিয়া থেকে ভান্ডারিয়া পর্যন্ত পুরো সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। ছোট বড় অনেক খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় মানুষ চলাচলে চরম ভোগান্তি হচ্ছে।
এ সড়কে ভাড়ায় মটর সাইকেল চালক আলতাফ, লিটন, নুর মোহাম্মাদসহ অনেকে বলেন, কাঠালিয়া থেকে ভান্ডারিয়া যাওয়ার জন্য যাত্রীদের মটর সাইকেল অথবা অটো গাড়ী ব্যবহার করতে হয়। তবে সড়কের অবস্থার খুবই খারাপ। কাঠালিয়া বাসষ্ট্যান্ড থেকে শুরু করে ভান্ডারিয়া পর্যন্ত রাস্তার মধ্যে অনেক গর্ত ও খন্দল হয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যেতে খুব ভোগান্তি হয়। অনেকে রাস্তার গর্তের জন্য গাড়ি চালিয়ে যাত্রী নিয়ে যেতে চান না।
পথচারী মো. মেহেদী হাসান বলেন, কাঠালিয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট কাঠালিয়া বাসষ্ট্যান্ডে এমন জনদুর্ভোগ খুব দুঃখজনক। সামান্য বৃষ্টি হলেই বাসষ্ট্যান্ডের বড় গর্তে পানি আটকে থাকে। এতে চলচলে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এছাড়া কাঠালিয়া থেকে ভান্ডারিয়া যেতে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির মধ্যে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হওয়ায় চলাচল করতে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। ফলে যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান বদু সিকদার বলেন, কাঠালিয়া থেকে ভান্ডারিয়া পর্যন্ত সড়কটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ও যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহন চলাচল করে। বর্তমানে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ ও গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় চরম দূর্ভোগ হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটি দ্রæত মেরামত বা সংস্কার করে চলাচল উপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হাসান জানান, আমুয়া -কাঠালিয়া-ভান্ডারিয়া সড়কটির কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। এখন আমুয়ায় কাজ চলছে। কাঠালিয়া থেকে ভান্ডারিয়ার দিকের যে অংশটি রয়েছে তার সংস্কারের কাজ দ্রæত শুরু হবে বলে জানান এ কর্মকতা।